বাংলা লিখিত অংশ(সলিউশন শিট):
টপিক :আমার পথ,ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
১।"অতএব এই অভিশাপ-রথের সারথির স্পষ্ট কথা বলাটাকে কেউ যেন অহংকার বা স্পর্ধা বলে ভুল না করেন"-কেন প্রাবন্ধিক এই উক্তি করেছেন?
"আমার পথ" প্রবন্ধে সত্যের পথে একনিষ্ঠ হওয়া ও স্পষ্ট কথা বলার ফলে প্রাবন্ধিকের ওপর বহু মানুষের অভিশাপ এসে জড়ো হবে ও কটুক্তির প্রবঞ্চনা প্রাবন্ধিকের সারথি হবে।আর এ স্পষ্ট কথা বলাটাকে সমাজে অবিনয় ও অহংকারের প্রতীক হিসেবে দেখা হলেও প্রাবন্ধিকের নিকট সমাজের এটাকে অবিনয় ও অন্যায় স্পর্ধা মনে করাটাই তাদের দুর্বলতা।মূলত,মিথ্যা বিনয়,মিথ্যার ওপর ভর করে চলার চেয়ে সত্যের উপলব্ধি মানুষকে এনে দিতে পারে প্রকৃত মুক্তির পথ।এই স্পষ্ট কথা বলা বা সত্যের দম্ভের মাধ্যমেই সকল অসাধ্য সাধন করা সম্ভব।প্রশ্নোক্ত উক্তি দ্বারা এ কথাই প্রাবন্ধিক বোঝাতে চেয়েছেন।
২।"শিহরিত ক্ষণে ক্ষণে আনন্দের রৌদ্রে আর দুঃখের ছায়ায়"- এখানে কিসের কথা বলা হয়েছে?পংক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
"ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯" কবিতার এই পংক্তিতে সজীব সবুজ হৃদয়ে ফোটা ফুল হলো আমাদেরই প্রাণ, যা শিহরিত হয় একই সাথে আনন্দে ও দুঃখে।কেননা,এতো আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের পর ছিনিয়ে নেয়া দাবি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে সেটা আমাদের মনে আনন্দের বিচ্ছুরণ ঘটায়।আবার এই প্রাণেই এতো মানুষের নিজ জীবনের আত্মদান ও স্বৈরাচার শাসকগোষ্ঠীর শোষণ নিয়ে আসে দুঃখের বিষাদ ছায়া।মূলত,এ কবিতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমে ভাস্বর বীর বাঙালিদের রক্তমাখা আত্মদান ও এর ফলে শোষণ থেকে মুক্তির আনন্দকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই পংক্তির মাধ্যমে।আমাদের বাঙালিদের প্রাণ আবারও সঞ্জীবিত হয়েছে এই বীরের রক্তে দুঃখিনী মায়ের অশ্রুজলে,সাহসী বীরদের আত্মত্যাগে।এই নতুন করে পাওয়া বাঙালি প্রাণকেই সজীব হৃদয়ে ফোটা ফুলের সাথে তুলনা করেছেন কবি।
রিভিউ পোস্ট আমি আরো কিছুক্ষণ পরে দিব।রাত ১২ টার পর রিভিউ পোস্ট লিখব আপনাদের এন্সার পর্যালোচনা করে।তাই ওটুকু ধৈর্য ধরবেন আশা করি।
রাত ১ টার মধ্যে ইন শা আল্লাহ আজকে রেজাল্ট পাবলিশ করব😊
রিভিউ পোস্ট একটু দেরি হতে পারে ১০-১৫ মিনিট।
>>Click here to continue<<